খাবারের পরিচিতি-What is a food actually?
খাবার জিনিসটা আমাদের কাছে যতটা সহজ আসলে তা কিন্তু নয়। বলা হয় মানুষ খাবার ছাড়া মাত্র কয়েক সপ্তাহ বেঁচে থাকতে পারবে। কিন্তু তার পর কী হবে? সৃষ্টির আদিমকাল থেকে মানুষ খোঁজে বেরিয়েছে কি কি খাওয়ার উপযোগী। তখন তারা খাবার খেত নিজেদের ক্ষুধা মেটানোর জন্য। তখন তারা একসাথে যতটুকু খাবার পেত ততটুকু খাবার একসাথে খেয়ে ফেলত। এর প্রথম কারণ হচ্ছে তারা খাবার Store করে পরবর্তী সময়ের জন্য তা রাখতে পারত না। আর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে তারা পরবর্তীতে আর খাবার পাবে কি না তাই। তবে বর্তমনকালে বিজ্ঞানের আশীর্বাদে আমরা আজ খাবারকে পরবর্তীকাল সময়ের জন্য Store করে রাখতে পারছি। তাই খাবারের অভাবের জন্য আর চিন্তা করতে হয় না। এখন আমাদের যখন ইচ্ছা তখন আমরা খাবার খেতে পারছি। ঘরে বাইরে যেখানে ইচ্ছে সেখানে আমরা খাই। খাবার বস্তুটা আমাদের কাছে আজ একটা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। আদিমকালে মানুষ খাবার খেত নিজেদের ক্ষুধা মেটানোর জন্য। কিন্তু আজ আমরা খাবার খাই মনের শান্তির জন্য। খাবার বস্তুটা আজ শুধু ক্ষিধে মেটানোর জন্য ব্যবহৃত হয় না। এখন খাবার হয়ে গেছে এক ধরণের Symbol। ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে যে, Tell me what you eat, I'll tell you what you are। অর্থাৎ খাবারই আজ আমাদের পরিচয় বহন করে। খাবারই বলে দেবে আপনি কি, আপনার পরিচয় কি, আপনার সংস্কৃতি কি। এখন খাবার তৈরি করা হয় Fashion এর জন্য। খাবারই বলে দেয় আমাদের Status কি।
কিন্তু আজকে আমরা যে খাবার খাই তা কিন্তু এভাবেই আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। মূলত কোনো কিছুই আমাদের কাছে একবারে পৌঁছায়নি। খাবার বহু বছরে ধাপেধাপে রূপান্তরিত হয়ে আজকের রূপে আমাদের কাছে পৌঁছেছে। তবে এই খাদ্য রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে গম।
প্রাচীনকালে এই গমকে সম্পদ এর মত মূল্যায়ন করা হত। বেশিরভাগ লেনদেন তারা এই গম দিয়ে করত। এই গম দিয়ে তখনকার মানুষরা আটা তৈরি করতে শিখল এবং এই আটা দিয়ে রূটি ও বিভিন্ন ধরণের পাওরূটি তৈরি করা শখল। তবে তখনকার দিনেও এই পাওরূটি সমাজে কার কী Status তা নির্ধারণ করে দিত। যার পাওরূটি যত দেখতে সুন্দর ও নরম হবে সমাজে তার অবস্থান হবে উপরে। আর যার পাওরূটি দেখতে কালো ও খেতে শক্ত হবে তার অবস্থান হবে নীচে। তবে তখনো খাদ্য সংরক্ষণ করার কোনো ভাল উপায় তাদের কাছে ছিলনা। কিন্তু খাদ্য সংরক্ষণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কোন জিনিসটা রেখেছিল তা কি জানেন? সেটা হচ্ছে লবণ। যখন তারা দেখল মাংসের উপর লবণ দিলে তা বেশিদিন ভাল থাকে তখন মানুষ খাদ্য সংরক্ষণে এক ধাপ এগিয়ে গেল। আসলে কোনো খাদ্যে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে প্রয়োজন পানির। কিন্তু খাদ্যে যখন লবণ দেয়া হয় তখন এই লবণ পানিকে শোষণ করে নেয়। যার ফলে এই মাংসকে বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারত। তবে তা যথেষ্ট ছিলনা। তারপর মানুষ আরও বুদ্ধি খাটিয়ে খাদ্যকে আরও বেশিদিন সংরক্ষণ করার জন্য তা টিনজাত করল। এভাবেই মানুষ খাদ্য সংরক্ষণ করে বেশি খাদ্য মজুত করে সমুদ্র পথে বিশ্ব জয় করল।
বাঙালি হিসেবে আমাদেরও রয়েছে নিজস্ব খাদ্যাভাস। আমাদের খাদ্যের ধরণটা কিন্তু অন্য জাতি থেকে একটু ভিন্ন। বাঙালি সংস্কৃতি অনুযায়ী আমাদের খাবারগুলো অনেক মূখরূচক হয়। আমার সাধারণত যেসব খাবারগুলো খেতে সুস্বাদ হয় তা খাই। সেসব খাবারের পুষ্টি বা গুণাগুণ তা আমরা যাচায় করি না। কিন্তু অন্যান্য দেশের মানুষরা শুধু পুষ্টিকর ও ভাল গুণাগুণের খাবার খায়। তবে যায় হোক না কেন, বাঙালিজাতির মত ভোজনরসিকতাপূর্ণ জাতি এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর নেয়।
বিজ্ঞানের সহায়তায় আজ আমরা খুব সহজেই খাদ্য আমাদের সামনে পেয়ে যাচ্ছি। আমাদের মনে রাখতে হবে এই খাবার কিন্তু আমাদের কাছে এমনিতেই আসছে না। অনেক মানুষের দিনরাত পরিশ্রমের ফলেই আমরা তা পাচ্ছি। কিন্তু তারা তাদের নেয্য সম্মান ও পারিশ্রমিক পাচ্ছে না। কারণ আমরা তা দিচ্ছি না। আমাদের কাছে হয়তো অনেক টাকা পয়সা আছে যার ফলে আমরা খাবার সহজেই পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ভূললে চলবে না সবার কাছে কিন্তু যথেষ্ট টাকা পয়সা নেয়। তারা যথেষ্ট খাদ্য পাচ্ছে না। খাদ্যকে কখনো তুচ্ছ ভাবেন না। কারণ খাদ্যের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। অযথা খাদ্য অপচয় করবেন না। খাদ্যকে যথাযথ মূল্য দিন।
এখন বিদায় নিচ্ছি। আশা করি আবার একদিন আপনাদের কাছে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ততদিন ভাল থাকোন। এতক্ষণ ধৈর্যসহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু আজকে আমরা যে খাবার খাই তা কিন্তু এভাবেই আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। মূলত কোনো কিছুই আমাদের কাছে একবারে পৌঁছায়নি। খাবার বহু বছরে ধাপেধাপে রূপান্তরিত হয়ে আজকের রূপে আমাদের কাছে পৌঁছেছে। তবে এই খাদ্য রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে গম।
প্রাচীনকালে এই গমকে সম্পদ এর মত মূল্যায়ন করা হত। বেশিরভাগ লেনদেন তারা এই গম দিয়ে করত। এই গম দিয়ে তখনকার মানুষরা আটা তৈরি করতে শিখল এবং এই আটা দিয়ে রূটি ও বিভিন্ন ধরণের পাওরূটি তৈরি করা শখল। তবে তখনকার দিনেও এই পাওরূটি সমাজে কার কী Status তা নির্ধারণ করে দিত। যার পাওরূটি যত দেখতে সুন্দর ও নরম হবে সমাজে তার অবস্থান হবে উপরে। আর যার পাওরূটি দেখতে কালো ও খেতে শক্ত হবে তার অবস্থান হবে নীচে। তবে তখনো খাদ্য সংরক্ষণ করার কোনো ভাল উপায় তাদের কাছে ছিলনা। কিন্তু খাদ্য সংরক্ষণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কোন জিনিসটা রেখেছিল তা কি জানেন? সেটা হচ্ছে লবণ। যখন তারা দেখল মাংসের উপর লবণ দিলে তা বেশিদিন ভাল থাকে তখন মানুষ খাদ্য সংরক্ষণে এক ধাপ এগিয়ে গেল। আসলে কোনো খাদ্যে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে প্রয়োজন পানির। কিন্তু খাদ্যে যখন লবণ দেয়া হয় তখন এই লবণ পানিকে শোষণ করে নেয়। যার ফলে এই মাংসকে বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারত। তবে তা যথেষ্ট ছিলনা। তারপর মানুষ আরও বুদ্ধি খাটিয়ে খাদ্যকে আরও বেশিদিন সংরক্ষণ করার জন্য তা টিনজাত করল। এভাবেই মানুষ খাদ্য সংরক্ষণ করে বেশি খাদ্য মজুত করে সমুদ্র পথে বিশ্ব জয় করল।
বাঙালি হিসেবে আমাদেরও রয়েছে নিজস্ব খাদ্যাভাস। আমাদের খাদ্যের ধরণটা কিন্তু অন্য জাতি থেকে একটু ভিন্ন। বাঙালি সংস্কৃতি অনুযায়ী আমাদের খাবারগুলো অনেক মূখরূচক হয়। আমার সাধারণত যেসব খাবারগুলো খেতে সুস্বাদ হয় তা খাই। সেসব খাবারের পুষ্টি বা গুণাগুণ তা আমরা যাচায় করি না। কিন্তু অন্যান্য দেশের মানুষরা শুধু পুষ্টিকর ও ভাল গুণাগুণের খাবার খায়। তবে যায় হোক না কেন, বাঙালিজাতির মত ভোজনরসিকতাপূর্ণ জাতি এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর নেয়।
বিজ্ঞানের সহায়তায় আজ আমরা খুব সহজেই খাদ্য আমাদের সামনে পেয়ে যাচ্ছি। আমাদের মনে রাখতে হবে এই খাবার কিন্তু আমাদের কাছে এমনিতেই আসছে না। অনেক মানুষের দিনরাত পরিশ্রমের ফলেই আমরা তা পাচ্ছি। কিন্তু তারা তাদের নেয্য সম্মান ও পারিশ্রমিক পাচ্ছে না। কারণ আমরা তা দিচ্ছি না। আমাদের কাছে হয়তো অনেক টাকা পয়সা আছে যার ফলে আমরা খাবার সহজেই পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ভূললে চলবে না সবার কাছে কিন্তু যথেষ্ট টাকা পয়সা নেয়। তারা যথেষ্ট খাদ্য পাচ্ছে না। খাদ্যকে কখনো তুচ্ছ ভাবেন না। কারণ খাদ্যের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। অযথা খাদ্য অপচয় করবেন না। খাদ্যকে যথাযথ মূল্য দিন।
এখন বিদায় নিচ্ছি। আশা করি আবার একদিন আপনাদের কাছে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ততদিন ভাল থাকোন। এতক্ষণ ধৈর্যসহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment