অলৌকিক ঘটনা (পর্ব ১)
সবাইকে জানাই স্বাগত। আশা করি গত বারের post গুলো আপনাদের ভালোই লেগেছে। তবে আজকে কিন্তু একটু অন্য ধরণের বিষয় নিয়ে লিখছি। যদি ভালো না লাগে তবে ক্ষমা করে দেবেন। তবে আমি কিন্তু কোনো খরাপ কিছু নিয়ে লিখছি না। যাহক, আজকে আমি লিখছি কিছু সত্যিকারের ভৌতিক ঘটনা নিয়ে। এই ঘটনাগুলো আমি বিভিন্ন source থেকে সংগ্রহ করেছি। এই ঘটনাগুলো তাদের সাথে ঘটে যাওয়া এবং এগুলো সত্যিই ঘটেছে। এখানে তাদের ছদ্মনাম ব্যবহার করা হল।
ঠিক আছে, এখন কথা না বাড়িয়ে মূল ঘটনায় আসা যাক.......
ঘটনা ১ - পদ্মা নদীর কাছেই থাকত জলি মিয়া। ইলিশ মাছ ধরে তা পাশের বাজারে বিক্রি করত। কিন্তু সেখানে সে ভাল দাম পেত না। একদিন মাছের ভাল দাম না পেলে জলি মিয়া বাকি মাছগুলো পরের দিন বিক্রি করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেলে বাজার থেকে ফেরার পথে দুজন লোক জলি মিয়ার কাছ থেকে সবগুলো মাছ বেশ চড়া দামে কিনে নেন। জলি মিয়া বেশ খুশি হল। দুজন লোক জলি মিয়াকে বলল যে জঙ্গলের মাঝে মাঝ রাতে বাজার বসে। জলি মিয়া যেন তার মাছগুলো সেখানে বিক্রি করে। করলে ভাল দামও পাবে। জলি মিয়া ব্যপারটি ভাল করে বুঝতে পারল না। তবে একদিন ভালো দামের লোভে সে মাঝ রাতে জঙ্গলের বাজারে গেল। যাবার আগে তার বৌ তাকে বারবার নিষেধ করল। কিন্তু সে তাতে কান দিল না। যাবার পথে জলি মিয়ারও বেশ ভয় করছিল। সেও মনেমনে ভাবছিল সেখানে যাওয়াটা বেশ বোকামি হবে। কিন্তু জলি মিয়া যখন সেখানে পৌঁছাল তখন সে দেখতে পেল সেখানে সত্যিই একটি বাজার আছে। সে আরও দেখল বিক্রেতার অনেককেই সে চিনে। জলি মিয়া তাদের জিজ্ঞাস করল তারা কত দিন ধরে এই বাজারে আসে। কেউ বলল দু মাস আবার কেউ বলল তিন মাস। তবে জলি মিয়া তার মাছগুলো বেশ দামে বিক্রি করে ফেলল। খুব তাড়াতাড়ি তার মাছগুলো লোকেরা কিনে নিয়ে গেল। জলি মিয়া তাই আর সকালের বাজারে মাছ বিক্রি করত না। সে সকালে মাছ ধরত ও রাতে সেগুলো বিক্রি করত। এভাবে একমাস যাবত জলি মিয়া তার মাছগুলো বিক্রি করল। একরাতে সে যখন বাজারে গেল তখন দেখল বাজারে কেউ নেই। সে ভাবল সে বুঝি সবার আগে এসেছে। তাই সে বেশি কিছু না ভেবে নিজের যায়গায় কুপি জ্বালিয়ে বসে গেল। কিছুক্ষণ পর দুজন লোক কোথা থেকে যেন দৌড়ে এসে জলি মিয়ার ইলিশ মাছগুলো কাচা খেতে লাগল। জলি মিয়া এতে ভয় পেয়ে গেল। সে নিজের কুপির আবছা আলোয় দেখতে পেল এদের চোখ দুটি বেশ লাল আর এরা সেই লোক যারা জলি মিয়াকে এই বাজারের সম্পর্কে বলেছিল। জলি মিয়া আর কিছু না ভেবে এক দৌড়ে হাপাতে হাপাতে বাড়ি পৌঁছাল আর জ্ঞান হারাল। তারপর থেকে বেশ কয়েক দিন সে ভীষণ অসুস্থ ছিল। তারপর সে সবকিছু নিয়ে ভাবতে লাগল। তার মনে হল সে তো তার পরিচিত কয়েকজনকে সেখানে দেখেছে। সে তাদের বাড়ি গেল এবং তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাস করল। তাদের পরিবারের লোকজন বলল তারাও নাকি এমনি রাতে এক বাজারে যেত। কিন্তু একদিন আর ফিরে আসল না।
ঘটনা ২ - এক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত রাজিব আলম। পড়াশুনার ব্যপারে তাকে একটি কঙ্কালের সেট কিনতে হয়। কিন্তু পুরোনো কঙ্কাল না পাওয়ায় তাকে নতুন একটি কিনতে হয়। একবার ঈদের ছুটিতে সে তার বাড়ি ফিরছিল। তখন খুব রাত হয়ে গিয়েছিল। বাসে শুধু সে আর একজন বৃদ্ধ লোক ছিল। রাজিব তার কেনা কঙ্কালের হাড়গুলো একটি আলাদা বেগে করে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ বৃদ্ধ লোকটি বলল যে এই বেগে যা আছে তা না নিয়ে যেতে। এটি তার ক্ষতি করবে। রাজিব কিছু বলল না। কয়েকদিন পর বাড়িতে সে যখন তার রূমে গেল..... (বাকিটা ২য় পর্বে দেখুন)
ঠিক আছে, এখন কথা না বাড়িয়ে মূল ঘটনায় আসা যাক.......
ঘটনা ১ - পদ্মা নদীর কাছেই থাকত জলি মিয়া। ইলিশ মাছ ধরে তা পাশের বাজারে বিক্রি করত। কিন্তু সেখানে সে ভাল দাম পেত না। একদিন মাছের ভাল দাম না পেলে জলি মিয়া বাকি মাছগুলো পরের দিন বিক্রি করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেলে বাজার থেকে ফেরার পথে দুজন লোক জলি মিয়ার কাছ থেকে সবগুলো মাছ বেশ চড়া দামে কিনে নেন। জলি মিয়া বেশ খুশি হল। দুজন লোক জলি মিয়াকে বলল যে জঙ্গলের মাঝে মাঝ রাতে বাজার বসে। জলি মিয়া যেন তার মাছগুলো সেখানে বিক্রি করে। করলে ভাল দামও পাবে। জলি মিয়া ব্যপারটি ভাল করে বুঝতে পারল না। তবে একদিন ভালো দামের লোভে সে মাঝ রাতে জঙ্গলের বাজারে গেল। যাবার আগে তার বৌ তাকে বারবার নিষেধ করল। কিন্তু সে তাতে কান দিল না। যাবার পথে জলি মিয়ারও বেশ ভয় করছিল। সেও মনেমনে ভাবছিল সেখানে যাওয়াটা বেশ বোকামি হবে। কিন্তু জলি মিয়া যখন সেখানে পৌঁছাল তখন সে দেখতে পেল সেখানে সত্যিই একটি বাজার আছে। সে আরও দেখল বিক্রেতার অনেককেই সে চিনে। জলি মিয়া তাদের জিজ্ঞাস করল তারা কত দিন ধরে এই বাজারে আসে। কেউ বলল দু মাস আবার কেউ বলল তিন মাস। তবে জলি মিয়া তার মাছগুলো বেশ দামে বিক্রি করে ফেলল। খুব তাড়াতাড়ি তার মাছগুলো লোকেরা কিনে নিয়ে গেল। জলি মিয়া তাই আর সকালের বাজারে মাছ বিক্রি করত না। সে সকালে মাছ ধরত ও রাতে সেগুলো বিক্রি করত। এভাবে একমাস যাবত জলি মিয়া তার মাছগুলো বিক্রি করল। একরাতে সে যখন বাজারে গেল তখন দেখল বাজারে কেউ নেই। সে ভাবল সে বুঝি সবার আগে এসেছে। তাই সে বেশি কিছু না ভেবে নিজের যায়গায় কুপি জ্বালিয়ে বসে গেল। কিছুক্ষণ পর দুজন লোক কোথা থেকে যেন দৌড়ে এসে জলি মিয়ার ইলিশ মাছগুলো কাচা খেতে লাগল। জলি মিয়া এতে ভয় পেয়ে গেল। সে নিজের কুপির আবছা আলোয় দেখতে পেল এদের চোখ দুটি বেশ লাল আর এরা সেই লোক যারা জলি মিয়াকে এই বাজারের সম্পর্কে বলেছিল। জলি মিয়া আর কিছু না ভেবে এক দৌড়ে হাপাতে হাপাতে বাড়ি পৌঁছাল আর জ্ঞান হারাল। তারপর থেকে বেশ কয়েক দিন সে ভীষণ অসুস্থ ছিল। তারপর সে সবকিছু নিয়ে ভাবতে লাগল। তার মনে হল সে তো তার পরিচিত কয়েকজনকে সেখানে দেখেছে। সে তাদের বাড়ি গেল এবং তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাস করল। তাদের পরিবারের লোকজন বলল তারাও নাকি এমনি রাতে এক বাজারে যেত। কিন্তু একদিন আর ফিরে আসল না।
ঘটনা ২ - এক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত রাজিব আলম। পড়াশুনার ব্যপারে তাকে একটি কঙ্কালের সেট কিনতে হয়। কিন্তু পুরোনো কঙ্কাল না পাওয়ায় তাকে নতুন একটি কিনতে হয়। একবার ঈদের ছুটিতে সে তার বাড়ি ফিরছিল। তখন খুব রাত হয়ে গিয়েছিল। বাসে শুধু সে আর একজন বৃদ্ধ লোক ছিল। রাজিব তার কেনা কঙ্কালের হাড়গুলো একটি আলাদা বেগে করে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ বৃদ্ধ লোকটি বলল যে এই বেগে যা আছে তা না নিয়ে যেতে। এটি তার ক্ষতি করবে। রাজিব কিছু বলল না। কয়েকদিন পর বাড়িতে সে যখন তার রূমে গেল..... (বাকিটা ২য় পর্বে দেখুন)
Comments
Post a Comment