অলৌকিক ঘটনা (পর্ব ২)
→তখন সে দেখল তার কেনা কঙ্কালের হাড়গুলো মেঝেতে একদম মানুষের আকৃতির মতো করে রাখা আছে। সে ভয়ে চিৎকার করলে তার পরিবারের লোকজন তাকে শান্ত করল। তারপর এক ইমামের কথায় কঙ্কালটিকে কবর দেওয়া হল। তারপর বেশ কয়েকমাস তার কিছু ঘটলনা। একরাতে সে একা তার খালার বাসা থেকে ফিরে তার বাড়ি যাচ্ছিল। সে বাইকে করে একটি ব্রিজের কাছে পৌছাতেই এক বৃদ্ধ রাজিবকে বলল তাকে একটু এগিয়ে দিতে। রাজিব তাকে বাইকের পেছনে বসিয়ে বাইক চালাতে লাগল। বৃদ্ধটা রাজিবের সাথে অনেক কথা বলল। ব্রিজের মাঝে পৌছাতেই লোকটি তার সামনে একটা জিনিস এনে বলল এটাকে সে চিনে কিনা। রাজিব বস্তুটা দেখে অবাক হল কারণ বস্তুটা ছিল ঐ বৃদ্ধ লোকটিরই মাথা আর সেটা হাসছিল। রাজিব বাইক সামলাতে না পেরে ব্রিজ থেকে নিচে নদীতে পড়ে গেল। পরদিন সকালে লোকজন তাকে উদ্ধার করল। তারপর থেকে রাজিবের সাথে এধরণের আর কিছু ঘটলনা।
ঘটনা ৩ - গ্রামের এক মাদ্রাসায় পড়ত সজিব হাসান। মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় যারা রাতে পড়াশোনা করতে চায় তাদের জন্য একটি আলাদা বড় রূম আছে। এক রাতে সজিব গভীর রাত পর্যন্ত সেই রূমে ছিল। বাইরে বেশি বাতাসের ফলে জানালা বারি খাচ্ছিল। সে জানালা বন্ধ করতে গিয়ে দেখল দূরে ধান ক্ষেতের পাশে কে যেন সাদা কাপড় পড়ে বসে আছে। সজিব ভয়ে কোনো কথা বলল না। সে চুপচাপ সেখন থেকে চলে গেল। আবার পরের দিনই সে আর কয়েকজন ছাত্র দ্বিতীয় তলায় পড়ছিল। তখন তারা দেখল দূরে কে যেন কালো কাপড় পরে কি যেন খাচ্ছে। তখন তারা চুপচাপ সেখান থেকে চলে গেল। সেই দিন ভোরে তারা তাদের শিক্ষককে ঘটনাটি বলল। সকালে সজিব আর তার বন্ধুরা দেখল রাতে যেখানে তারা কিছু একটা দেখেছিল সেখানে একটি লাশ পরে আছে। তারা আরও দেখল যে লাশটার শরীরের অনেক যায়গায় কোনো মাংস নেয়। ঐ ঘটনার পর থেকে অনেক ছাত্রই সেই মাদ্রাসা থেকে চলে গিয়েছিল।
ঘটনা ৪ - এক গ্রামে বেশ কয়েকদিন যাবত একটি সমস্যা হচ্ছিল। প্রতি রাতে সেই গ্রামের একজন করে মানুষ মারা যাচ্ছিল। তাদের মৃত্যু হত খুবই ভয়ানক ভাবে। তাদের শরীরের সব যায়গায় যেন টিউমার ফুলে উঠত। গ্রামের কয়েকজন ইমাম সাহেবের নিকট গেল এর সমাধানের জন্য। একরাতে ইমাম ও কয়েকজন গেলেন নদীর তীরে। সেখানে তারা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করল। কিন্তু কিছু হলনা। তারপর হঠাৎ নদীর মাঝ থেকে এক মহিলা কুপি হাতে নিয়ে উঠে আসল। মহিলাটিকে দেখে মনে হচ্ছিল সে যেন ভেসেভেসে খালি পায়ে পানির উপর হাটছে। নদীর তীরে পৌছাতেই ইমাম সাহেব মহিলাকে উদ্দেশ্য করে সালাম দিলেন। মহিলাটি তখন কিছু বলল না। ইমাম বললেন যে তারা সবাই এতক্ষণ উনার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। ইমাম সাহেব মহিলাটিকে বললেন তাদের সাথে যেতে মহিলাটি তাদের সাথে গেলেন। তারপর ইমাম সাহেব মহিলাটিকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন। ইমাম সাহেব ও অন্যরা বাইরে ছিলেল। যখন ফজরের আযান দিল তখন মহিলাটি চিৎকার করতে লাগল। বলতে লাগল তাকে ছেড়ে না দিলে তাদেরকে মেরে ফেলবে। ইমাম সাহেবের সাথে যারা ছিলেন তারা ভয়ে কাঁপতে লাগলেন। যখন ইমাম সাহেব দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলেন তখন দেখলেন মহিলাটির শরীরে সবজায়গায় টিউমারের মত ফুলে আছে আর বিছানাই ছটফট করছে। ইমাম সাহেব মহিলাটিকে জিজ্ঞাসা করলেন সে শুধু শুধু এত মানুষকে কেন মারল। মহিলাটি বলল প্রতিরাতে তাকে একজনকে মারতে হবে। তা না করলে তার নিজের শরীরেই এ রকম অবস্থা হবে। ইমাম সাহেব তাকে আরও জিজ্ঞাসা করলেন যে যখন সে তাদের দেখল তখন সে তাদের কিছু করল না কেন। মহিলাটি তখন বলল যখন ইমাম সাহেব তাকে সালাম দিল তখন সে তাদের আর কিছু করতে পারতনা। ইমাম সাহেব তখন মহিলাটিকে বললেন এখনে যেন আর না আসে। মহিলাটি তারপর নদীর উপর হেটেহেটে চলে গেল আর হঠাৎ গায়াব হয়ে গেল।
আজ এই পর্যন্তই থাক । আশা করি ঘটনাগুলো পড়ে আপনাদের ভালোই লেগেছে। এতক্ষণ ধৈর্যসহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ঘটনা ৩ - গ্রামের এক মাদ্রাসায় পড়ত সজিব হাসান। মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় যারা রাতে পড়াশোনা করতে চায় তাদের জন্য একটি আলাদা বড় রূম আছে। এক রাতে সজিব গভীর রাত পর্যন্ত সেই রূমে ছিল। বাইরে বেশি বাতাসের ফলে জানালা বারি খাচ্ছিল। সে জানালা বন্ধ করতে গিয়ে দেখল দূরে ধান ক্ষেতের পাশে কে যেন সাদা কাপড় পড়ে বসে আছে। সজিব ভয়ে কোনো কথা বলল না। সে চুপচাপ সেখন থেকে চলে গেল। আবার পরের দিনই সে আর কয়েকজন ছাত্র দ্বিতীয় তলায় পড়ছিল। তখন তারা দেখল দূরে কে যেন কালো কাপড় পরে কি যেন খাচ্ছে। তখন তারা চুপচাপ সেখান থেকে চলে গেল। সেই দিন ভোরে তারা তাদের শিক্ষককে ঘটনাটি বলল। সকালে সজিব আর তার বন্ধুরা দেখল রাতে যেখানে তারা কিছু একটা দেখেছিল সেখানে একটি লাশ পরে আছে। তারা আরও দেখল যে লাশটার শরীরের অনেক যায়গায় কোনো মাংস নেয়। ঐ ঘটনার পর থেকে অনেক ছাত্রই সেই মাদ্রাসা থেকে চলে গিয়েছিল।
ঘটনা ৪ - এক গ্রামে বেশ কয়েকদিন যাবত একটি সমস্যা হচ্ছিল। প্রতি রাতে সেই গ্রামের একজন করে মানুষ মারা যাচ্ছিল। তাদের মৃত্যু হত খুবই ভয়ানক ভাবে। তাদের শরীরের সব যায়গায় যেন টিউমার ফুলে উঠত। গ্রামের কয়েকজন ইমাম সাহেবের নিকট গেল এর সমাধানের জন্য। একরাতে ইমাম ও কয়েকজন গেলেন নদীর তীরে। সেখানে তারা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করল। কিন্তু কিছু হলনা। তারপর হঠাৎ নদীর মাঝ থেকে এক মহিলা কুপি হাতে নিয়ে উঠে আসল। মহিলাটিকে দেখে মনে হচ্ছিল সে যেন ভেসেভেসে খালি পায়ে পানির উপর হাটছে। নদীর তীরে পৌছাতেই ইমাম সাহেব মহিলাকে উদ্দেশ্য করে সালাম দিলেন। মহিলাটি তখন কিছু বলল না। ইমাম বললেন যে তারা সবাই এতক্ষণ উনার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। ইমাম সাহেব মহিলাটিকে বললেন তাদের সাথে যেতে মহিলাটি তাদের সাথে গেলেন। তারপর ইমাম সাহেব মহিলাটিকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন। ইমাম সাহেব ও অন্যরা বাইরে ছিলেল। যখন ফজরের আযান দিল তখন মহিলাটি চিৎকার করতে লাগল। বলতে লাগল তাকে ছেড়ে না দিলে তাদেরকে মেরে ফেলবে। ইমাম সাহেবের সাথে যারা ছিলেন তারা ভয়ে কাঁপতে লাগলেন। যখন ইমাম সাহেব দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলেন তখন দেখলেন মহিলাটির শরীরে সবজায়গায় টিউমারের মত ফুলে আছে আর বিছানাই ছটফট করছে। ইমাম সাহেব মহিলাটিকে জিজ্ঞাসা করলেন সে শুধু শুধু এত মানুষকে কেন মারল। মহিলাটি বলল প্রতিরাতে তাকে একজনকে মারতে হবে। তা না করলে তার নিজের শরীরেই এ রকম অবস্থা হবে। ইমাম সাহেব তাকে আরও জিজ্ঞাসা করলেন যে যখন সে তাদের দেখল তখন সে তাদের কিছু করল না কেন। মহিলাটি তখন বলল যখন ইমাম সাহেব তাকে সালাম দিল তখন সে তাদের আর কিছু করতে পারতনা। ইমাম সাহেব তখন মহিলাটিকে বললেন এখনে যেন আর না আসে। মহিলাটি তারপর নদীর উপর হেটেহেটে চলে গেল আর হঠাৎ গায়াব হয়ে গেল।
আজ এই পর্যন্তই থাক । আশা করি ঘটনাগুলো পড়ে আপনাদের ভালোই লেগেছে। এতক্ষণ ধৈর্যসহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment