আপনি কী জানেন ভূতের ভয় আমাদের মনে কখন ও কীভাবে তৈরি হয়?
ভূত। নামটা শুনলেই আমরা এমন কিছু একটা কল্পনা করি যা অনেকের মতে আছে বা নেই। তবে যারা মনে করে নেই তাদের মনেও কিছু একটা অবাস্তব ভয় সবসময় থাকে। কী কারণে ভয়টা থাকে তা কিন্তু তারা বলতে পারেনা বা বলতে চায় না। আর যারা ভূতে বিশ্বাস করে তারা তো করেই আবার কিছু মানুষতো ভূতের নামটা শুনলেই ভয় পেয়ে যায়। এই অশরীরী ভূতকে মানুষ বিভিন্ন নামে ডাকে। জ্বিন, প্রেত, পরী, আত্মা এই নামে মানুষ ভূতকে বিভিন্ন দলে ভাগ করেছে। তবে কেউ কী কখনো ভেবে দেখেছেন এই ভূতের ভয় আমাদের মনে কখন ও কীভাবে জন্ময়?
ছোটবেলায় যখন রাতে কোনো বাচ্চা খাবার না খওয়ার বাইনা ধরে তখন তার বাবা মা বলে খাবার না খেয়ে ঘুমালে ভূতে নিয়ে যাবে। বাবা মাই সাধারণত ছোটবেলায় আমাদের মনে প্রথম ভূতের ভয় জাগিয়ে তোলে। কারণ ভূত মানে কী তা তো আমরা তখন যানতাম না। তারাই আমাদের মনে ভূতের ভয়ের বীজটা রোপণ করে না যেনে আমাদের এক অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলে। যার ফল আমাদের সারাটা জীবন ভোগ করতে হয়। আবার গ্রামে দাদু বাড়ি বা নানু বাড়ি গেলে তারা ভূতের গল্প শুনিয়ে ভূত সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাসটা আরও দৃঢ় করে। কারণ তখন আমাদের যা শিক্ষা দেওয়া হয় আমরা তাই শিখি। কিন্তু কেউই ভূত না থাকার কথা বলে না। সবাই বলে ভূত আছে, ভূত আছে। কিন্তু কেউ যদি আমাদের এই শিক্ষা দিত যে ভূত বলতে কিছুই নেই তাহলে বোধহয় এই ভয়টা আমাদের মনে একটু হলেও কম হতো। তবে বর্তমনকালে আমাদেরও একটু বিচার বুদ্ধি খাটিয়ে তা বিশ্লেষণ করা উচিৎ, ভূত কী আসলে আছে?
প্রায় সবাই ভূতে বিশ্বাস করে। ভূতের উপস্থিতি আমরা তখনি টের পায় যদি আমরা এমন কোনো পরিবেশে যায় যার ফলে আমাদের একটু uncomfortable feel হয়। একটু ভালোভাবে বোঝানো যাক।
মনে করুন, আপনি আপনার কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে খুব দেড়ি করে ফেলেছেন। মাঝ রাতে রাস্তায় আপনি একা। আপনি যে রাস্তা দিয়ে যাবেন সেখানে একটি পুরোনো জমিদার বা পরিত্যক্ত বাড়ি পরে। আসেপাশে ঘন গাছপালা। এই ধরণের Environment এ ভয় পাবে না এমন কোনো মানুষ নেই। এক ধরণের অজানা ভয় আপনার মনে থাবেই। আর এই ভয়টা কিসের জন্য তা তো আপনারা যানেন। তবে আপনি যদি উপরে বর্ণিত একই সময়ে এমন একটি রাস্তা দিয়ে যান যেখানে একটি নতুন বহুতল বাড়ি আছে সেখান দিয়ে যেতে আপনার মোটেও ভয় হবে না। সে জায়গাটা যদি জনমানব শূণ্যও হয় তবুও ভয় লাগবে না। অর্থাৎ আপনি ভয় পাবেন নাকি পাবেন না সেটা পুরোপুরি নির্ভর করে আপনার আসেপাশের Environment এর উপর। আপনার আসেপাশের পরিবেশ যদি ভৌতিক হয় তবে ভয় লাগবে। তখন আপনার মনে হবে আসেপাশে কেউ আছে। আপনি অনুভব করতে পারবেন কেউ যেন আপনার উপর নজর রাখছে। আর তখনি আপনি ভূতের অস্তিত্বের উপর বিশ্বাস করবেন।
আবার গ্রামের মানুষরা তো ভূত, জ্বিন এইসবের উপর দৃঢ় বিশ্বাস করে। বহুকালের প্রচলিত অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার এবং অশিক্ষা এর প্রধান কারণ। তাদের এই ধরণের সরল বিশ্বাসের সুযোগে কিছু ভন্ড সাধু গড়ে তোলে ব্যবসা।
তবে আজকাল অনেকে দাবি করে যে তারা নাকি ভূত বা এই ধরণের কিছু দেখেছে। এটা সত্যি নাকি মিথ্যা তা তারাই যানে। তবে ধর্মীয় দিক দিয়ে দেখলে এই ধরণের কিছু সত্যিই আছে। কিন্তু বিজ্ঞান তা বিশ্বাস করে না। আচ্ছা সৃষ্টিকর্তা যদি অদৃশ্য বাতাস সৃষ্টি করতে পারে তবে মানুষের আকৃিতর অদৃশ্য কিছু সৃষ্টি করা কোনো ব্যাপার না। ভূত আছে নাকি নেই এ নিয়ে বিতর্ক করে কোনো লাভ নেই। কারণ ভূতের অস্তিত্বের উপর যতগুলো যুক্তি আছে ভূতের না থাকার উপর ততগুলোই যুক্তি আছে। যে যাই বলুক না কেন আমাদের নিজেদের সতর্কতাই হচ্ছে আসল। এই ধরণের কিছু থেকে কিন্তু আমাদের সবসময় সর্তক থাকা উচিৎ। কারণ বিপদ তো আর আপনাকে মেসেজ করে আসবে না।
আজ এই পর্যন্তই থাক। আবারো আমরা আপনাদের কাছে একটা নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকোন। ধন্যবাদ।
ছোটবেলায় যখন রাতে কোনো বাচ্চা খাবার না খওয়ার বাইনা ধরে তখন তার বাবা মা বলে খাবার না খেয়ে ঘুমালে ভূতে নিয়ে যাবে। বাবা মাই সাধারণত ছোটবেলায় আমাদের মনে প্রথম ভূতের ভয় জাগিয়ে তোলে। কারণ ভূত মানে কী তা তো আমরা তখন যানতাম না। তারাই আমাদের মনে ভূতের ভয়ের বীজটা রোপণ করে না যেনে আমাদের এক অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলে। যার ফল আমাদের সারাটা জীবন ভোগ করতে হয়। আবার গ্রামে দাদু বাড়ি বা নানু বাড়ি গেলে তারা ভূতের গল্প শুনিয়ে ভূত সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাসটা আরও দৃঢ় করে। কারণ তখন আমাদের যা শিক্ষা দেওয়া হয় আমরা তাই শিখি। কিন্তু কেউই ভূত না থাকার কথা বলে না। সবাই বলে ভূত আছে, ভূত আছে। কিন্তু কেউ যদি আমাদের এই শিক্ষা দিত যে ভূত বলতে কিছুই নেই তাহলে বোধহয় এই ভয়টা আমাদের মনে একটু হলেও কম হতো। তবে বর্তমনকালে আমাদেরও একটু বিচার বুদ্ধি খাটিয়ে তা বিশ্লেষণ করা উচিৎ, ভূত কী আসলে আছে?
প্রায় সবাই ভূতে বিশ্বাস করে। ভূতের উপস্থিতি আমরা তখনি টের পায় যদি আমরা এমন কোনো পরিবেশে যায় যার ফলে আমাদের একটু uncomfortable feel হয়। একটু ভালোভাবে বোঝানো যাক।
মনে করুন, আপনি আপনার কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে খুব দেড়ি করে ফেলেছেন। মাঝ রাতে রাস্তায় আপনি একা। আপনি যে রাস্তা দিয়ে যাবেন সেখানে একটি পুরোনো জমিদার বা পরিত্যক্ত বাড়ি পরে। আসেপাশে ঘন গাছপালা। এই ধরণের Environment এ ভয় পাবে না এমন কোনো মানুষ নেই। এক ধরণের অজানা ভয় আপনার মনে থাবেই। আর এই ভয়টা কিসের জন্য তা তো আপনারা যানেন। তবে আপনি যদি উপরে বর্ণিত একই সময়ে এমন একটি রাস্তা দিয়ে যান যেখানে একটি নতুন বহুতল বাড়ি আছে সেখান দিয়ে যেতে আপনার মোটেও ভয় হবে না। সে জায়গাটা যদি জনমানব শূণ্যও হয় তবুও ভয় লাগবে না। অর্থাৎ আপনি ভয় পাবেন নাকি পাবেন না সেটা পুরোপুরি নির্ভর করে আপনার আসেপাশের Environment এর উপর। আপনার আসেপাশের পরিবেশ যদি ভৌতিক হয় তবে ভয় লাগবে। তখন আপনার মনে হবে আসেপাশে কেউ আছে। আপনি অনুভব করতে পারবেন কেউ যেন আপনার উপর নজর রাখছে। আর তখনি আপনি ভূতের অস্তিত্বের উপর বিশ্বাস করবেন।
আবার গ্রামের মানুষরা তো ভূত, জ্বিন এইসবের উপর দৃঢ় বিশ্বাস করে। বহুকালের প্রচলিত অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার এবং অশিক্ষা এর প্রধান কারণ। তাদের এই ধরণের সরল বিশ্বাসের সুযোগে কিছু ভন্ড সাধু গড়ে তোলে ব্যবসা।
তবে আজকাল অনেকে দাবি করে যে তারা নাকি ভূত বা এই ধরণের কিছু দেখেছে। এটা সত্যি নাকি মিথ্যা তা তারাই যানে। তবে ধর্মীয় দিক দিয়ে দেখলে এই ধরণের কিছু সত্যিই আছে। কিন্তু বিজ্ঞান তা বিশ্বাস করে না। আচ্ছা সৃষ্টিকর্তা যদি অদৃশ্য বাতাস সৃষ্টি করতে পারে তবে মানুষের আকৃিতর অদৃশ্য কিছু সৃষ্টি করা কোনো ব্যাপার না। ভূত আছে নাকি নেই এ নিয়ে বিতর্ক করে কোনো লাভ নেই। কারণ ভূতের অস্তিত্বের উপর যতগুলো যুক্তি আছে ভূতের না থাকার উপর ততগুলোই যুক্তি আছে। যে যাই বলুক না কেন আমাদের নিজেদের সতর্কতাই হচ্ছে আসল। এই ধরণের কিছু থেকে কিন্তু আমাদের সবসময় সর্তক থাকা উচিৎ। কারণ বিপদ তো আর আপনাকে মেসেজ করে আসবে না।
আজ এই পর্যন্তই থাক। আবারো আমরা আপনাদের কাছে একটা নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকোন। ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment